Or login
GoogleIf have no account, please create account
Or login
GoogleIf have no account, please create account
লেখক : ইমাম ত্বহাবী (রহ.)
ক্যাটাগরি : কদিম নুসখা -> তাকমিল -> শরহু মায়ানিল আছার ছানী
এটি ফিকহী আন্দাজে লিখিত একটি চমৎকার হাদীসের কিতাব। সুন্দর বিন্যাসের কারণে এতে খুব সহজে ফিকহী মাসআলা খুজে বের করা যায়। এর প্রতিটি অধ্যায়ে দুই কিংবা ততোধিক মাযহাব বর্ণনা করা হয়েছে। মাযহাব বর্ণনার ক্ষেত্রে প্রথমে অন্যান্য ইমামের দলিল, অতঃপর হানাফী মাযহাবের দলিল উল্লেখ করা হয়েছে। এ কিতাবটিতে সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীনের অনেক আছার স্থান পেয়েছে। এখানে হাদীসের মান নির্ণয় করা হয়েছে। লেখক পরস্পরবিরোধী হাদীসের মাঝে সমন্বয় ঘটিয়ে যুক্তির আলোকে হানাফী মাযহাবকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমাদের সংযোজন-
১. এই কিতাবে কম্পিউটার কম্পোজকৃত ৫টি প্রবন্ধ সংযোজন।
২. মৌলভী অসি আহমদ সুরতী (র.) লিখিত সমৃদ্ধ ভূমিকাটি কম্পোজ করে আধুনিক অঙ্গ সজ্জায় সংযোজন।
৩. কিতাব, বাব ও হাদীসের নম্বর প্রদান।
৪. সূচীপত্র সংযোজন।
বইয়ের নাম | শরহু মায়ানিল আছার ছানী কদিম নুসখা |
প্রকাশনা | ইসলামিয়া কুতুবখানা |
লেখক | ইমাম ত্বহাবী (রহ.) |
সাইজ | ৯ বাই ১৩ ইঞ্চি |
বাঁধাই | হার্ডকভার |
ভাষা | আরবী |
পূর্ণনাম- ইমাম আবূ জাফর আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে সালামা ইবনে সালমা আত-ত্বহাবী (র.) ত্বহাবী ৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে/২২৯ হিজরিতে উত্তর মিশরের তাহা গ্রামে এক ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পড়াশোনা তার মামা ইসমাঈল ইবনে ইয়াহিয়া আল-মুজানির সাথে শুরু করেন, যিনি ছিলেন শাফিঈ মাযহাবের শীর্ষস্থানীয় একজন আলেম। ৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে/২৪৯হিজরীতে, তাহাবী ২০ বছর বয়সে শাফিই মাযহাব ত্যাগ করেন এবং ব্যক্তিগত কারণে হানাফি মাযহাব গ্রহণ করেন। তার হানাফী মাযহাবে স্থানান্তরের কারণ নিয়ে অনেক বর্ণনা রয়েছে, তবে অধিক সম্ভাব্য কারণ ছিল মনে হয়, তার কাছে আবু হানিফাকে শাফিঈর থেকে বেশি বুদ্ধিদীপ্ত লেগেছিল। ত্বহাবী পরে মিশরে হানাফীদের প্রধান আহমেদ ইবনে আবী ইমরান মুসার অধীনে পড়াশোনা করেন, যিনি নিজে আবু হানিফার দুই প্রাথমিক শিক্ষার্থী আবু ইউসুফ এবং মুহাম্মদ আল-শায়বানির অধীনে পড়াশোনা করেছিলেন। তাহাবী পরবর্তী সময়ে ৮৮২ খ্রী/২৬৮ হিজরীতে হানাফি আইন বিষয়ে আরও পড়াশোনা করার জন্য সিরিয়ায় যান এবং দামেস্কের প্রধান হাকিম কাজী আবু হাজ্জিম আবদুল হামিদ বিন জাফরের শিষ্য হন। ত্বহাবী হানাফী আইনশাস্ত্র ছাড়াও হাদীসের উপর এক অসাধারণ জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। ফলস্বরূপ তাঁর গবেষণা অনেক আলেমকে আকৃষ্ট করে যারা পরে তাঁর হাদীস সম্পর্কিত রচনা নিয়ে আরো গবেষণা করেন। এর মধ্যে খুরাসানের জহিরীদের প্রধান আল-দাউদি এবং হাদীস বর্ণানাকারীদের জীবনী সংক্রান্ত অভিধানের জন্য আল-তাবারানী সুপরিচিত ছিলেন। হানাফী ফকীহরা তো বটেই, তাহাবির গ্রন্থ কিতাব মাআনী আল-আতহার এবং তাঁর আকীদা সম্পর্কিত বইয়ের জন্য বেশিরভাগ সুন্নি পন্ডিতের মধ্যে বিশিষ্ট স্থান অর্জন করেছে। তিনি ৫ই নভেম্বর ৯৩৩ খ্রিস্টাব্দ/১৪ জুলকদ ৩২১ হিজরিতে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে কায়রা (মিশর) এর কারাফাহে সমাধিস্থ করা হয়।
পাঠকদের অভিমত জানুন